দিনাজপুরে হেলমেট পরিধান ব্যতীত পাম্পগুলো থেকে মিলছে না মোটরসাইকেলের জ্বালানি তেল। হঠাৎ করেই এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে জেলা পুলিশ। শুধু দিনাজপুর শহর নয়! এমন চিত্র দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায়। জেলার সবকয়টি তেলের পাম্পে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ‘হেলমেট নাই তো তেল নাই’ স্লোগান সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত ১৬মে থেকে এ নীতি বাস্তবায়নে পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদসহ জেলার ১৩টি থানার ওসি মাঠে নেমেছেন।
পুলিশ বলছে, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশ হেলমেট না পড়ার কারণে। সে কারণে শতভাগ হেলমেট পরিধান নিশ্চিত করতে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় মাঠে নেমেছে দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
শনিবার (১৮ মে) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার তিনটি তেলের পাম্প ঘুরে দেখা যায়, পাম্পের একাধিক স্থানে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ এবং ‘হেলমেট নাই তো তেল নাই’ স্লোগান সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে রাখা আছে। হেলমেট ব্যতিত কোন মোটরসাইকেল চালক পাম্পে তেল নিতে আসলে তাদের তেল দিচ্ছেন না পাম্পের কর্মচারী।
সাধনা ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদের। হেলমেট ব্যতীত তেল না দেয়ার নীতি পাম্প কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে কিনা! তা তদারকি করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঘোড়াঘাট উপজেলার খন্দকার বদরে আরেফিন ফিলিং স্টেশনের মালিক সেলিম আখতার জানান, ঘোড়াঘাট থানার ওসি নিজে এসে এই ব্যানার টাঙিয়ে দিয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে হেলমেট ছাড়া কেও তেল নিতে আসলে, তাকে তেল না দিতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমরা পুলিশের নির্দেশনা মেনে কাজ করছি।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, হেলমেট ছাড়া যদি পাম্প থেকে তেল না পায়, তবে বাধ্য হয়েই মোটরসাইকেল চালকরা হেলমেট পড়বে। এতে করে শতভাগ হেলমেট পরিধান নিশ্চিত করা যাবে। ফলে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
টিএইচ